পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রক্তদানের উপকারিতা, রক্তদানের পূর্বে ও পরে করণীয়

রক্তদানের উপকারিতা, রক্তদানের পূর্বে ও পরে করণীয় ইংরেজ চিকিৎসক ডাঃ উইলিয়াম হার্ভে ১৬১৬ সালে গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে মানবদেহের আভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহিত হয়। এর অনেক পরে ডাঃ জেমস ব্লান্ডেল নামে একজন ইংরেজ ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ ১৮১৮ সালে রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা দিয়ে সর্বপ্রথম সফলভাবে একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়। এভাবেই মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার শুরু এবং এরপর থেকেই মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে অসংখ্য অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর পথ থেকে ফিরিয়ে সুস্থ করা হয়ে আসছে। রক্ত দিলে শারীরিক কোন ক্ষতি হয় কি? ------------------------------- রক্তদানে শরীরের কোন ক্ষতি হয়না। ছেলেদের শরীরে ওজনের কেজিপ্রতি ৭৬ মিলিলিটার আর মেয়েদের শরীরে ওজনের ৬৬ মিলিলিটার করে রক্ত থাকে এবং সবারই কেজিপ্রতি ৫০ মিলিলিটার রক্ত সংবহনের জন্য প্রয়োজন হয়, বাকিটা থাকে উদ্বৃত্ত। অর্থাৎ ছেলেদের ওজনের কেজিপ্রতি ২৬ মিলিলিটার আর মেয়েদের ওজনের কেজিপ্রতি ১৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে উদ্বৃত্ত। ফলে ৫০ কেজি ...

রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য

ছবি
একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় কতজন মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন? জেমস হ্যারিসন এমন এক ব্যক্তি যিনি একাই বাঁচিয়েছেন ২০ লাখ শিশুর প্রাণ। আসলেও তাই। এতোগুলো শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে নিজের রক্ত ও রক্তের উপাদান প্লাজমা দানের মাধ্যমে। এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নামও লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী মি. হ্যারিসন গত ১১ই মে এক হাজার ১৭৩ বারের মতো রক্ত দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানের বয়সসীমা নির্ধারিত থাকায় এটাই ছিল তাঁর সবশেষ রক্তদান। মাত্র ১৪ বছর বয়সে জরুরি অস্ত্রোপচারের কারণে ১৩ লিটার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো মি. হ্যারিসনের। সে যাত্রায় রক্ত পেয়ে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর। এরপর বয়স ১৮ বছর হতেই নিয়মিত রক্তদান করতে শুরু করেন তিনি। রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার। রক্ত দেয়া কেন প্রয়োজন? দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ...

রক্ত দেয়ার আগে ও পরে যা মনে রাখা প্রয়োজন

ছবি
একজন রোগীর সুস্থতার জন্য মানসম্পন্ন রক্তসঞ্চালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যায়না। তাই রক্তের প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছাসেবক দাতার কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করতে হয়। অনেক মানুষই ব্যথা ও রোগ সংক্রমণের ভয়ে রক্ত দিতে ভয় পান। রক্ত দানের সময় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন- মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। রক্ত দেয়ার পূর্বে, রক্ত দেয়ার সময় ও রক্তদানের পরে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আপনার রক্তদানের অভিজ্ঞতাকে নিরাপদ, সফল ও আনন্দময় করার জন্য যা করা প্রয়োজন তাই জেনে নেয়া যাক চলুন। রক্ত দানের পূর্বে করণীয় : - আপনাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন- লাল মাংস, মাছ, মুরগী, শিম ও শাক বিশেষ করে পালং শাক। - রক্ত দেয়ার আগের রাতে পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন। - রক্ত দানের পূর্বে অতিরিক্ত ১৬ আউন্স পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। - রক্ত দানের পূর্বে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, ভাঁজাপোড়া খাবার ও আইসক্রিম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ চর্বি জাতীয় খাবার খেলে ব্লাড টেস্ট প্রভাবিত হয়। র...

"সুপারবাগ" কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে

"সুপারবাগ" কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে সামান্য সর্দি-কাঁশি কিংবা ঠান্ডা-জ্বর হলেই মানুষ ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়। চিকিৎসকের পরামর্শও নেয় না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে যে একটু একটু করে মারাত্মক বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে গবেষণার ফলাফল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এভাবে নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘সুপারবাগস’। যখন-তখন ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে নিতে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। এটাই ডেকে আনছে আগামী দিনের গুরুতর বিপদ। এই অকারণ ও অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে বাড়ে শরীরের মেদ। সেই সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি সমস্যায় ফেলছে রোগী ও চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে এমন একটা সময় আসবে, যখন অধিকাংশ সুপারবাগের সঙ্গে লড়াই করার মতো কোনো ওষুধই পাওয়া যাবে না। ফলে বহু রোগের চিকিৎসা মিলবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ...

সুপারবাগ কি?

সুপারবাগ কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে "সুপারবাগ" হলো সেই সমস্ত ব্যাকটেরিয়া যেগুলো আজকের দুনিয়ায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলির প্রতিরোধী। এটা একটা ভয়াবহ বিপদের কারন যখন প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলি নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং ত্বকের সংক্রমণ ঘটায়। এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে, হতে পারে এটি ধীর গতিতে , কিন্তু থামানো যাচ্ছে না। যে ঔষধগুলি তাদের মেরে ফেলতো সময়ের সাথে সাথে জীবাণুরা সেই ওষুধের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে । ফলে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য পূর্বে যে ঔষুধ কার্যকর ছিল সেই ঔষুধ এখন কম কার্যকর, এবং কিছু ক্ষেত্রে, অকার্যকর। কিছু কাজ এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া উত্থান এবং বিস্তার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে, যেমন: এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার বা অপব্যবহার দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা বা কাজ করা অস্বাস্থ্যকর বা ভুল খাবার খাওয়া ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, সাবান এবং জল দিয়ে প্রায়ই আপনার হাত ধুয়ে নিন, বা এলকোহল স্যানিডেটর ব্যবহার...