পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনাভাইরাসের জন্ম আসলে কোথায়? করোনা ভাইরাস ও এর উৎপত্তি।

করোনাভাইরাসের জন্ম আসলে কোথায় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামরিক গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে ভুল করে ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। চীন এই জৈবাস্ত্র তৈরি করেছে বিশ্ববাণিজ্য দখলে নিতে ও দুনিয়াজুড়ে নিজের কর্তৃত্ব বাড়াতে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এ অভিযোগ ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম অভিযোগ প্রথম করেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক এক কর্মকর্তা। এরপর সেই তালিকায় যুক্ত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সারা দুনিয়াতেই মানুষ গুজবে একটু বেশিই আস্থা রাখে। রীতিমতো এসব নিয়ে চর্চাও হয়। কন্সপিরেসি থিওরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নামে এ চিন্তা ও তৎপরতার চর্চা সারা দুনিয়াতে চলে। গত শতাব্দীতে মানুষের সব থেকে বড় অর্জনগুলোর একটি চন্দ্রবিজয় নিয়েও এ রকম হয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং। চন্দ্রজয়ের ৫০ বছর পরও অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন, মানুষ চাঁদে কখনো নামেনি। তৎকালীন কমিউনিস্ট শাসিত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিততে যুক্তরাষ্ট্র সারা দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহ...

করোনা ভাইরাস। জেনে নিন করোনার সত্য-মিথ্যা, করণীয়-বর্জনীয়।

জেনে নিন করোনার সত্য-মিথ্যা, করণীয়-বর্জনীয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সুযোগে অনেক ভুল তথ্যও ছড়াচ্ছে। মনে রাখতে হবে, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। করোনা নিয়ে ছড়ানো ভুল তথ্যগুলোর ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। ভাইরাসটি নতুন। এ নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি করোনা বিষয়ে কী করবেন, কী করবেন না, তা তুলে ধরেছে। ১. একটু পরপর পানি, লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত পানি বা গরম পানি পান করলে কিংবা গলা ভেজালে অথবা রসুন মুখে রাখলে করোনা গলা থেকে ফুসফুসে যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের একটি তথ্য ঘুরছে। এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ২. গরমে করোনার সংক্রমণ হবে না, এই ধারণাও ভুল। আবহাওয়া ও পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই। করোনা যেকোনো তাপমাত্রায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ৩. থার্মাল স্ক্যানার কেবল শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করে। এর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। কাজেই থার্মাল স্ক্যানারে ধরা না পড়লে করোনা হয়নি, এমন মনে করা ঠিক নয়। সাধারণত উপসর্গ দেখা দিতে ২ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।...

কোয়ারেন্টিন কী? কোয়ারেন্টিনে কী করবেন, কী করবেন না।।

জানেন কি, কোয়ারেন্টিনে কী করবেন, কী করবেন না কোয়ারেন্টিন মানে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরাকে সীমাবদ্ধ করা। কোয়ারেন্টিন তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য, যাঁরা রোগে আক্রান্ত হননি কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকায় থেকেছেন, অর্থাৎ যাঁরা রোগ ছড়াতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কথাটা এসেছে ‘কোয়ারান্টাগাইরন’ থেকে, যার অর্থ ফরটি ডে (৪০ দিন)। প্লেগের সময় জাহাজের মাল খালাস করার আগে ৪০ দিন তীরে ভিড়ে থাকতে হতো। সম্প্রতি চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টিনের আগে কুষ্ঠ রোগ, পীতজ্বর বা ইয়েলো ফিভার, কলেরার মতো রোগের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের ইবোলাও এর একটা উদাহরণ। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন এই দুটি বিষয় আমাদের কাছে একই রকম মনে হলেও এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। রোগ ছড়ানোর ভয়ে রোগীকে যখন আলাদা রাখা হয়, সেটা প্রোটেক্টিভ সিকোয়েস্ট্রশন (রিভার্স কোয়ারেন্টিন)। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ব্যবস্থায় রেখে চিকিৎসা করাকে বলে আইসোলেশন। 👉👉👉 কত দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে? এটা নির্ভর করবে ওই রোগের ইনকিবেশন পিরিয়ড বা জীবাণু প...

একসঙ্গে দুই ভাইরাস, করোনা ও গুজব

একসঙ্গে দুই ভাইরাস, করোনা ও গুজব করোনাসংক্রান্ত দুটি মহামারি এখন একসঙ্গে চলছে—একটা ভাইরাসের, আরেকটা গুজবের। গোমূত্র পানে করোনা থেকে মুক্তি বা স্বপ্নে করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার খবর লাখো–কোটিবার শেয়ার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘করোনা দ্বারা সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা এ মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই, তবু বানোয়াট চিকিৎসার খবরে ফেসবুক ছেয়ে যাচ্ছে।’ ভুয়া খবরে বিভ্রান্ত হয়ে অ্যালকোহল, গরম পানি, ভিনেগার ইত্যাদি গিলে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারেন যে কেউ। গুজব ও ভুয়া খবরে আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষিত-অশিক্ষিতনির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা করতে হলে করোনা গুজব মোকাবিলায় আমাদের দক্ষ হতে হবে। সে জন্য গুজব শনাক্তকরণ ও বিচারমূলক চিন্তায় দক্ষতা আমাদের দরকার। গুজব থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রথমত আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো তথ্য ‘বিশ্বাস’ কিংবা ‘অবিশ্বাস’ করা ছাড়াও তৃতীয় আরেকটা বিকল্প আছে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা হচ্ছে তথ্যকে ‘বিবেচনাধীন’ রাখতে পারা। ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রতিদিন আমাদের চোখের সামনে উদয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তথ্য। কোনো একটা তথ্য বা খবর চোখের সামনে দেখলে আমরা মনে করি এ...

করোনাভাইরাস: কী করবেন, কী করবেন না

ছবি
করোনাভাইরাস: কী করবেন, কী করবেন না,,, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই বিশেষ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশে–বিদেশে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু নিজেকে আর নিজের পরিবার, স্বজনদের রক্ষা করতে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার ভূমিকা কী হওয়া উচিত এ সময়? কীভাবে আপনি পারবেন এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কিছু উপদেশ দিচ্ছে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক। ১. বারবার হাত ধোয়া নিয়মিত এবং ভালো করে বারবার হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)। কেন? এ কথা প্রমাণিত যে সাবান–পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুলে এই ভাইরাসটি হাত থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হাতে ময়লা বা নোংরা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে পারেন। তবে বিশেষ করে হাত ধোবেন অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পর, হাঁচি–কাশি দেওয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর। ২. দূরে থাকুন এই সময় যেকোনো সর্দি–কাশি, জ্বর বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কেন? আর সব ফ্লুর মতোই এই র...

করোনা ও ডায়াবেটিস। করোনার ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীরা যা করবেন।।

করোনার ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীরা যা করবেন সারা পৃথিবী করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত। করোনা সংক্রমণের ৮০ শতাংশই মৃদু বা মাইল্ড ধরনের, যা এমনিতেই সেরে যায়। ১৫ শতাংশ তীব্র বা সিভিয়ার ধরনের হতে পারে, যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর ৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল, যেখানে ভেন্টিলেটর দরকার হতে পারে, এমনকি রেসপিরেটরি ফেইলিউর হয়ে মৃত্যুও হতে পারে। করোনা সংক্রমণে যাঁরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁরা হলেন ডায়াবেটিস রোগী, হার্ট ফেইলিউরের রোগী, কিডনি ফেইলিউরের রোগী, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগী। এ ছাড়া আছেন যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, যেমন কেমোথেরাপি নেওয়া রোগী ইত্যাদি। #ডায়াবেটিস রোগীরা কেন ঝুঁকিতে আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেরই ডায়াবেটিস আছে। তার ওপর আমাদের ডায়াবেটিসের রোগীদের একটি বিরাট অংশের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ডায়াবেটিসের কারণে রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। যেকোনো জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একই সঙ্গে কিডনি জটিলতা, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের বড় ধরনের ঝুঁকি আছে করোনাভাইরাস...

করোনাভাইরাস। গুজব_নাকি_জেনে_নিন।। জেনে নিন কোনটা ভ্রান্ত, কোনটা অভ্রান্ত

#গুজব_নাকি_জেনে_নিন করোনাভাইরাস: জেনে নিন কোনটা ভ্রান্ত, কোনটা অভ্রান্ত নতুন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়াই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। মুশকিল হচ্ছে, এই আতঙ্কের সঙ্গে ভাইরাসটি নিয়ে নানা বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়ছে। নানা সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ ও সুরক্ষা কৌশল। এসব অপরীক্ষিত কৌশল ও পরামর্শ যদি সঠিক না হয়, তবে এ থেকেও বিপদ ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া পরামর্শই অনুসরণ করা উচিত। যেহেতু বিশ্বে করোনাভাইরাসটি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থার নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের কাজটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করছে, সেহেতু তাদের দেওয়া তথ্যের ওপরই নির্ভর করাটা মঙ্গলজনক। আসুন, দেখে নেওয়া যাক ভাইরাসটি নিয়ে চারপাশে কী কী বিভ্রান্তি রয়েছে এবং এগুলো সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই–বা কী বলছে— ১। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াতেও কোভিড-১৯ ছড়ায় না—ভুল নতুন করোনাভাইর...