কাজের চাপে ঘুম আসছে না? জানুন দূর করার ৫ উপায়।

কাজের চাপে ঘুম আসছে না? জানুন দূর করার ৫ উপায়। সারা দিনের অনেকটা সময় আমাদের কাটে কর্মজগতে। ধকল, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা জীবনের সঙ্গে না চাইতেও জড়িয়ে পড়েছে। কাজের চাপে রাতের পর রাত ঘুম আসছে না, কোনো কোনো সময় এমনটাও ঘটে অনেকের সঙ্গে। কর্মজীবনের এই প্রবল চাপ ক্ষতি করছে ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনেরও। ক্ষতির হাত থেকে সব চাপ সামলে একটি সুন্দর জীবন নির্বাহ করা উচিত। কিন্তু কিভাবে করবেন? কিছু সহজ উপায় মানলে এই চাপ অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যায়। এমনকি সময়ে অফিস গিয়ে বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলা যায় অফিসের সব কাজ। জানুন সেই সব উপায়- #কাজের পরিকল্পনা দিনের শুরুতেই ঠিক করে নিন কোন সময় ঠিক কোন কাজটা করবেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতে একাধিক নতুন কাজ আসতেই থাকে। এক এক করে নোট করে রাখুন সেই সব কাজের তালিকা। এ বার কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ঠিক করে নিন কোনটা আগে করবেন। #কাজ জমিয়ে না রাখা জমে থাকা অতিরিক্ত কাজের চাপই আপনার ধকল আর দুশ্চিন্তার মূলে। প্রতি দিনের কাজ সে দিনই সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। অহেতুক কাজ জমিয়ে রেখে দেবেন না। আর খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যাবেন না। বাড়িতে যেটুকু সময় পাচ্ছেন, তা একান্তই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটান। কাজের চাপ আর কান্তি কাটিয়ে তুলতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ খুবই জরুরি। #সহকর্মী-বসের সঙ্গে সম্পর্ক আপনার অফিসের সময়ে আপনার চারপাশে কেমন লোকজন কাজ করছে তার ওপরেও আপনার কাজ নির্ভর করে অনেকখানি। সকলের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সম্পর্কই কাজের গতিকে বেঁধে রাখে। তবে কোনো কোনো সহকর্মী এই সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আপনার ওপর অতিরিক্ত কাজের ভার চাপাচ্ছেন কি না, সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রয়োজনে কথা বলুন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আর হে বসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন। তবে অনৈতিকভাবে নয়। #আলোচনা কোনো বিষয় সম্পর্কে যে কোনো রকম সন্দেহ থাকলে বা বুঝতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়ারদের পরামর্শ নিন। অনেক সময় এমনটা করতে অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন। আর তাতেই কাজে সময় ব্যয় হয় বেশি। ভুলের পর তার দায় থেকে একটা মানসিক চাপ তো জন্ম নেয়ই, এ ছাড়া ভুল ঠিক করার জন্যও ব্যয় হয় অতিরিক্ত সময়। #ছোট ছোট বিরতি অনেকেই ভাবেন, একটানা বসে কাজ করে গেলে সময়ে কাজ শেষ হয়। তাই তারা জায়গা ছেড়ে খুব একটা ওঠেন না। এই ধারণায় সায় নেই মনোবিদদের। বরং তাদের মতে, এক-দু’ঘণ্টা অন্তর সিট ছেড়ে উঠুন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলুন, কয়েক পা হেঁটে আসুন। এতে একটানা বসে থাকার বদভ্যাস থেকেও কিছুটা ছাড় মিলবে, কাজের গতিও ফিরবে এতে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Scientific Calculator and it's Use | সাইন্টিফিক ক‍্যালকুলেটর ও এর ব্যবহার।

পর্নোগ্রাফির আসক্ত ব‍্যক্তি সম্পর্কে কিছু তত্ত এবং এর থেকে মুক্তির উপায়।

এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স ! লক্ষণ ও উপসর্গ ! Monky Pox