"সুপারবাগ" কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে
"সুপারবাগ" কি? সুপারবাগস বা ব্যাকটেরিয়া ঝুঁকি বাড়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে
সামান্য সর্দি-কাঁশি কিংবা ঠান্ডা-জ্বর হলেই মানুষ ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খায়। চিকিৎসকের পরামর্শও নেয় না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে যে একটু একটু করে মারাত্মক বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে গবেষণার ফলাফল থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এভাবে নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘সুপারবাগস’।
যখন-তখন ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে নিতে শরীরে তৈরি হচ্ছে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। এটাই ডেকে আনছে আগামী দিনের গুরুতর বিপদ। এই অকারণ ও অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে বাড়ে শরীরের মেদ। সেই সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি সমস্যায় ফেলছে রোগী ও চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে এমন একটা সময় আসবে, যখন অধিকাংশ সুপারবাগের সঙ্গে লড়াই করার মতো কোনো ওষুধই পাওয়া যাবে না। ফলে বহু রোগের চিকিৎসা মিলবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, যখন-তখন নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে মানুষ গুরুতর অসুখের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঘন ঘন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে শরীর নিজের মধ্যেই সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাই দিনের পর দিন সেই ওষুধ নেওয়ার কারণে একটা সময়ের পর তা আর শরীরে কাজ করে না। কারণ শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ওষুধের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। হয়ে ওঠে আরো শক্তিশালী। অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সেই সব জীবাণুকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘সুপারবাগস’।
ভারতীয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শঙ্কর দাসের মতে, এমন অবস্থা যে সাধারণ ভাইরাল ফিভারও সারছে না সহজে। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্রান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হলো, কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ভালো খাওয়া-দাওয়া ও পরিমিত ব্যায়াম করে এবং নিয়ম মেনে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ান। তাতে রোগ যেমন কম হবে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
Tnx
উত্তরমুছুন